স্বদেশ ডেস্ক : গান গাওয়া মনকে প্রফুল্ল রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশেষ করে এতে ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি হয়, সেই সঙ্গে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রষ্ট রোগ মোকাবেলায় সাহায্য করে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের অধ্যাপক ডেইজি ফ্যানকোর্ট বলেন, গান গাইলে কোর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন বা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। এ ছাড়া এটি এন্ডরফিন হরমোনের নিঃসরণেও সাহায্য করে। যে হরমোনের মাত্রার ওপর আমাদের মেজাজ ভালো থাকা না-থাকা নির্ভর করে। ফ্যানকোর্টের মতে, গান গাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বা মানুষের সঙ্গে ভাব আদান-প্রদানে সাহায্য করে। এতে বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি হ্রাস পায়।
গবেষকরা আরও বলছেন, গুরুতর ও স্থায়ী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রোগীদের বের করে আনতে গান গাওয়া বড় ধরনের উপকারে এসেছে। ড. সাইমন ওফার বলেন, গান গাওয়ার সময় মস্তিষ্কের পিকর্টিক্যাল অংশে রক্তের প্রবাহ বাড়ে। এ অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেই ডিমেনশিয়া হয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘মাইন্ড সং’ হাঁপানি ও ফুসফুসে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গীতের পাঠ দিয়ে থাকে। পাঁচ-ছয়টি গানের সেশনে যোগ দেয়ার পর কয়েকজনের শ্বাসপ্রশ্বাসে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে।